
হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না-ধর্ম উপদেষ্টা
- আপলোড সময় : ১০-০৪-২০২৫ ১২:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৪-২০২৫ ১২:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন


ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হাসান বলেছেন, হালাল টাকা খরচ করে হজ করতে হবে। হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না। গতকাল বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ড. আ ফ ম খালিদ হাসান বলেন, মানুষের মাঝে সুদ-ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ কামানোর প্রবণতা আছে। তবে অসৎ পথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কোনও দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর, ঘুষখোর যখন হারাম শরীফে গিয়ে বলে আল্লাহ আমি হাজির, তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকে তোমার হাজিরা কবুল হয়নি। তিনি সবাইকে সৎ পথে অর্থ উপার্জনের অনুরোধ জানান। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। পায়ে হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে। হাজীদের কষ্ট বা ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে, সব কিছু সহজে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করতে হবে। প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে কুশলি করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধিলাভ করা যায়। যত বেশি মনোযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন তত বেশি সহজ হবে। তিনি হজযাত্রীদের মনোনিবেশ সহকারে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অনুরোধ জানান। হজযাত্রীদের ভাগ্যবান অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, হজ ভাগ্যের ব্যাপার। টাকা কিংবা বিত্তবৈভব থাকলেই হজ করা যাবে, একথা ঠিক নয়। অনেকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আজ যাবে, কাল যাবে করে যেতে পারে না। মানুষ যখন মায়ের পেটে থাকে তখনই কে কতদিন দুনিয়ায় থাকবে, কী পরিমাণ রিজিক পাবে, সৎকর্ম করবে কিনা, হজ করতে পারবে কিনা-এ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়ে যায়। কবুল হজের ফজিলত বর্ণনা করে তিনি বলেন, কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। হাজীদের আল্লাহ সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ করে দেন। হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার। এ সময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও হজ অফিসের পরিচালক মো. লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের মধ্য হতে দুটি ব্যাচে সাত শতাধিক হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ